নতুন ক’রে এঁকেছি আমার ছবি, দেখতো চিনতে পারো কিনা?
বড়ো শক্ত এই মুখোসটা বদলানো, বাঁচার অভ্যেস করে মানা।
ক’রেছি শুরু আঁকতে নতুন ছবি, লিখবো এবার নতুন উপন্যাস,
হুবহু যা ঘটেছে তাই নিয়ে, নতুন ক’রে হবে বাক্যের বিন্যাস।
তারপরে ছবিটাকে দেবো ব’দলে, মুছে দেবো যা লাগেনি ভালো,
জুড়ে দেবো যা চেয়েছিল মোর মন, ফুটবে আঁধারের মাঝে আলো।
এক চিলতে চিতার পাশে ব’সে, অপার শান্তিতে চোখ এসেছিল জুড়ে,
শুধু এইটুকু থাক, কেন এই ক্লান্তি – কী হবে তার খোঁজ আর ক’রে?
বেদনার অনুভূতি ফুলের মতোই সুন্দর, দিক না তার পাঁপড় মেলে;
শুধু শ্মশানের শেষ শিখা কেন, সাথে আকুতির দিনগুলো দিই ফেলে?
আরো সুন্দর হোতো কি উপন্যাস,
যদি অন্য কোথাও ভাঙতো আমার ঘুম?
অন্য কেউ থাকতো আমাকে ঘিরে,
বাতাবরণে অন্য বিভিন্ন সুরের ধূম?
আরো উচ্ছ্বাস জাগতো কি যৌবনে,
যদি অন্য কোনো ছন্দ থাকতো জুড়ে?
আমার নতুন উপন্যাসে বানানো সব ছবি,
নিয়ে যাবে কোনো অজানা অন্তঃপুরে।
নতুন বাবা, নতুন মা, নতুন দাদা-দিদি,
নতুন ভাই-বোন, নতুন স্বামী-স্ত্রী, নতুন ছেলেমেয়ে,
নতুন নাতিনাতনীদের ভিড়ে,
আমার ছবিটাকে দেবে পুরো নতুন রঙে ছেয়ে।
নতুন রঙের ভিড়ে পেলে কি খুঁজে
যে মুখ তোমার অনেক দিনের চেনা?
আমার নতুন উপন্যাসে, দেখো নতুন চোখে,
Click Follow to receive emails when this author adds content on Bublish
Comment on this Bubble
Your comment and a link to this bubble will also appear in your Facebook feed.