নেমে এলাম উপর থেকে ভদ্র হ’য়ে সার্ট-প্যান্ট প’রে,
‘শ্যামল আর মোহিতের সাথে আসি একটু দেখা ক’রে,‘
বেরিয়ে প’ড়লাম, মাকে - এই ক’টি কথা ব’লে ।
মোহিতের বসার ঘরে দেখি রয়েছে শ্যামলও।
তিন শিকারী একসঙ্গে আবার হ’য়েছি জড়ো।
‘বল্ কী খবর তোদের?’, আমি ক’রলাম শুরু।
বললো বিধ্বস্ত মোহিত নামিয়ে চোখের ভুরু।
‘আমি আনলাম শিকার ক’রে; আর
শিকে বেশ ছিঁড়লো ভাইয়ের আমার।
নন্দিতাকে নিয়ে যেই আসি বাড়ীর দরজায়,
মা ওর কচিমুখ দেখে আদরে হাত বাড়ায়,
‘ঘরে এসো মা; বয়স কত তোমার?’
নন্দিতা বললো, লজ্জা-লজ্জা মুখ তার,
‘পড়েছি চোদ্দোয়, সবে এই ফাল্গুনে ।‘
মা আনন্দে চেঁচালেন এই কথা শুনে -
‘খোকোন, পড়া ছেড়ে নেমে আয় নীচে ।
দ্যাখ দাদা তোর জন্যে কী নিয়ে এসেছে ।‘
খোকোন নন্দিতাকে দেখে গলে গেল একেবারে;
বললো, ‘ধন্য দাদা, আমি তোমার স্নেহ উপকারে।
ব্যস্ত আমি সারাদিন পরীক্ষার পড়া নিয়ে;
সময় নেই যে আনবো লুটে কোনো মেয়ে;
দিলে এ উপহার তোমার অপার স্নেহ দিয়ে –‘
কী করবো বল? আমি কৃতার্থ হ’লাম দাদা হ’য়ে।
তারপরে মার উপদেশ নির্দেশ ক’রে সার,
রোহিত সযত্নে ঘুচিয়েছে কুমারীত্ব নন্দিতার;
নন্দিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি গিয়ে ওঁর বাড়ী;
বললেন, ‘শৈশবে কুশিক্ষার জন্যে এত বাড়াবাড়ি।
বেলতলা গার্লসে পড়ে নন্দিতা, ওঁর বড় আদরের মেয়ে
অঙ্কে একশো পেয়ে, ক্লাস নাইনে উঠেছে ফার্স্ট হ’য়ে।‘
শেষে সমাজের নিয়ম-ঐতিহ্যের দিকে চোখ দিয়ে,
রাজী হ’লেন রোহিতের সঙ্গে দিতে মেয়ের বিয়ে।
বললেন মেয়েদের পড়াশোনা করার নেই দরকার।
ওঁর স্ত্রীও এক লুটে আনা মেয়ে – করলেন স্বীকার।‘
‘তোর কী খবর?’ বললুম শ্যামলের দিকে ফিরে,’
শ্যামল উত্তর দিলো একটা হতাশ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে,
‘আমার অবস্থাও ওর মতো, একই রকম প্রায়।
মালটাকে বাড়ীতে রাখারও হোলো না উপায়।
ওকে নিয়ে ঢুকলাম বাড়ীতে. দরজার চাবি খুলে,
কেউ ছিল না ওখানে, যে নেবে বরণ ক’রে তুলে।
ভাইবোনেরা বেরিয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে;
মা গেছেন পাড়াপড়শীদের সঙ্গে আড্ডা মারতে।
বাবার তখনও দেরী হ’চ্ছে অফিস থেকে ফিরতে।
ওকে নিয়ে গেলাম আমি আমার ঘরেই সোজা,
ঐ ঘরে আমার শোয়ার খাট, কম্পিউটারের মজা।
ভেতরে ঢুকে দিলুম তুলে দরজার ছিটকিনি;
বললুম, ‘তোমাকে আমি সাত জন্ম ধ’রে চিনি।‘
বসালাম ওকে খুব যত্ন ক’রে আমার খাটে;
বললুম, ‘জানো কেন তোমায় এনেছি লুটে?’
কেয়া নিরুত্তর দেখে বললাম, ‘তুমি জানো নিশ্চয়,,
আমাদের সমাজে লুট ক’রেই বিয়ে করতে হয়।
তোমরা মেয়েরা একেবারেই অন্যরকমের জানোয়ার,
তোমার মন আর শরীর – দুই-ই জানতে হবে আমার।‘
নিশ্চয় মনে আছে – কেয়া ছিল সায়া-ব্লাউজ-শাড়ী প’রে।
চুমু খেলুম হাত-বাঁধা কেয়ার ঠোঁটে, ওকে জড়িয়ে ধ’রে;
অনেকক্ষণ ধ’রে আমরা পরস্পরের জিভ-ঠোঁট চাটলাম;
হাত দিয়ে বুঝেছিলাম ওর জামার পেছনে টেপা বোতাম;
ওকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে চুমু খাওয়ার ফাঁকে
খুলে দিলাম ওর পিঠের বোতাম সব কটাকে।
ওর দু-হাত তখনও বাঁধা চুড়ি-বালার শিকল দিয়ে;
ওর ব্লাউজ খুলে হাতের কব্জির কাছে গেলুম নিয়ে।
বললুম, ‘দাঁড়াও, এবার খুলে দেবো চাবি তোমার।‘
জানিনা কেন ও আকুল কান্না শুরু ক’রলো আবার।
চাবি খুলে হাতের কব্জি থেকে ব্লাউজটা নিলুম ছাড়িয়ে।
বুকের উপর থেকে আদর ক’রে দিলুম শাড়ীটা সরিয়ে।
টলমল ক’রছে ওর নরম গরম আমের মতো বুক;
পনেরো বছরের মেয়েকে কাছ থেকে দেখার সুখ –
রূপসী কেয়ার মধুর সৌরভে আমি একেবারে মুগ্ধ;
কিন্তু ওর উচৈঃস্বরে কান্না ক’রলো মোরে বিক্ষুব্ধ ।
তবু জোর ক’রে খুলে দিলাম কোমর থেকে শাড়ীর গিঁটটা,
সায়ার দড়ির চাপ থেকে টেনে বার ক’রলাম কুঁচির গোছটা।
ওর শাড়ী আর ব্লাউজখানা চেয়ারের পিঠে রেখে,
সায়া পড়া কেয়াকে চেপে ধ’রলাম আমার বুকে ।
হঠাৎ কি খেয়াল হোলো – খুলে ফেললাম গেঞ্জিটা আমার;
ও দেখলো আমার লোমশ বুক, লোমে ভ’রা বগল আর।
তারস্বরে চীৎকার ক’রে কাঁদতে শুরু ক’রলো কেয়া।
আমি হতভম্ব; কী ক’রে ক’রবো এখন দেওয়া নেয়া?
পিছিয়ে এসে গায়ে গেঞ্জী চড়িয়ে বুক ঢাকলুম আমার,
চকিতে ফাঁস খুললাম দড়ির, ওর কমলা রঙের সায়ার;
অবাক আমি, কেয়ার কেমন চ্যাপ্টা নুনু, মাঝখানেতে গর্ত্ত;
প্যান্ট নামাতে স্যাট বেরোলো আমার যন্ত্র - লম্বা, বড়, মস্ত।
জিভ দিয়ে ওর নুনুর দরজার নোনা স্বাদ নিলাম চেটে;
কাতুকুতু খেয়ে খিলখিল হাসিতে কেয়া পড়লো ফেটে।
হঠাৎ ওর কি যে হোলো, ও কেঁদে উঠলো দারুণ জোরে,
ঠিক এই সময়েই টোকা পড়লো মোর বন্ধ ঘরের দ্বারে।
বাবা-মার আতঙ্কিত ভর্ৎসনা, - ‘কী করছিস্ তুই শ্যামল?
কে কাঁদছে তোর ঘরে এখন? তাড়াতাড়ি দরজা খোল।‘
কেয়াকে বললাম, - ‘কেয়া আমার, প্লিজ্ কান্না একটু থামাও;
যত তাড়াতাড়ি পারো, তোমার ব্লাউজ আর শাড়ী প’রে নাও;
সুবোধ, শান্ত, ভাল ছেলের ম’তো আমায় দরজা খুলতে দাও,
জীবনভোর যা ব’লবে মেনে নেবো; এখন আমার মাথা বাঁচাও।‘
কেয়াকে নিয়ে যেই বেরোলাম ঘর থেকে,
চীৎকার ক’রে বাবা-মা দিলেন ধমকে।
বাবা বললেন, ‘এরকম যদি আর কখনও হয়, তোকে
পিটিয়ে বার ক’রে দেবো আমার এই বাড়ী থেকে।
বল আমাকে কে এই মেয়ে? কি ক’রে এনেছিস ওকে?’
আমি বললাম, ‘ওর নাম কেয়া; জানিনা কোথায় থাকে;
তুলে এনেছি বিয়ে ক’রবো বলে চড়কের মেলা থেকে।
একইসঙ্গে একটা ক’রে মেয়ে তুলে এনেছে মোহিত আর অর্জ্জুনও।
চড়কের মেলায় এই মেয়ে তিনটি একসাথে তেলেভাজা খাচ্ছিলো;
একই সঙ্গে আমরা তিন বন্ধু, খেতে ব্যস্ত তিন মেয়েকে
ঝাঁপিয়ে প’ড়ে ক্যাপচার ক’রেছি ওদের পেছন ধেকে।‘
বাবা বললেন, ‘কেয়াকে নিয়ে এখনই যাবো বাবা-মার কাছে ওর;
গাড়ী বার ক’রছি আমি। হয়তো ওখানে না গেলেও চলতো তোর;
আমিই একাই গিয়ে ওর বাবার সঙ্গে কথা ব’লবো,
তবুও তুই গাড়ীতে থাক; দরকার পড়লে ডাকবো ।
কেয়া বসবে সামনের সীটে, আমার পাশে পথ দেখাবার জন্যে।
জল খেয়ে, বাথরুম সেরে দ্রুত রেডী হ’য়ে নে তোরা দুজনে।‘
বাবা আর আমি কেয়াকে ওর বাড়ীতে দিয়ে এলাম পৌঁছে;
কেয়ার বাবা-মাকে বোঝালেন বাবা, ও পুরো কুমারী আছে;
একটু ঠিকানা ভুল ক’রে আমাদের বাড়ীতে এসেছিল কেয়া;
ওর গোপন অঙ্গে পরপুরুষের লাগেনি কোনো একটু ছোঁয়া।
আমরা লিখে এনেছি ওদের ফোন নম্বর, বাড়ীর ঠিকানা,
আমাদেরগুলো দিয়ে এসেছি; কী হবে পরে নেই জানা।
********
বাড়ীতে ফিরেই দেখা হোলো মার সঙ্গে।
মা’তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ বৌমার প্রসঙ্গে,
বললেন, ‘তোর বাবা বৌ দেখেছেন ওঁর মার সোনার মুকুট দিয়ে;
বলেছেন সাতজন্মের তপস্যা ক’রলে যায় পাওয়া ওর মতো মেয়ে।
রূপে লক্ষ্মীমন্ত, আবার গুণে সরস্বতী,
আশীর্বাদ ক’রি – হোক সৌভাগ্যবতী।‘
দ্যাখ এমন আদরের মেয়েকে হঠাৎ হারিয়ে
মা-বাবা নিশ্চয় রয়েছে খুব দুশ্চিন্তায় জড়িয়ে।
এখানে মেয়ে হারালে পুলিশকে ব’লে নেই কোনো লাভ;
ওরা খাতায় তুলবে না কেস, বলবে ‘বোকোনা প্রলাপ;
কেউ লুটে নিয়ে গেছে বিয়ে করবে ব’লে;
এইতো এখানের নিয়ম, উতলা হ’লে চলে?’
বাবাকে দিবি, নিয়ে সুভদ্রার কাছ থেকে, ওর বাবা-মার নাম ঠিকানা;
দেখা করার তারিখ চেয়ে, তোর বাবা ওদের চিঠি দেবে;, খোকনসোনা,
দেখা ক’রবে মা-বাবার সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি পারে গিয়ে
তারিফ ক’রবে গড়ে তোলার জন্যে এমন লক্ষ্মী মেয়ে।‘
আমি বললাম, ‘ঠিক আছে; আশা ক’রি পাবে কাল সকালে,
জানিনা এখনও, কাঁদেনি কেন ও বাবা-মাকে দেখবে বলে।‘
********
Click Follow to receive emails when this author adds content on Bublish
Comment on this Bubble
Your comment and a link to this bubble will also appear in your Facebook feed.